প্রযুক্তির অপব্যবহার
তথ্য প্রযুক্তির কথা বলতে আমরা জানি আধুনিক বিশ্বের যান্ত্রিক উপাদান আর উপকরণের কথা। যার মাধ্যমে মানব জীবনকে করা হয়েছে অনেক সহজ ও আরামদায়ক। বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনেছে এইসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বিভিন্ন রকমের উদ্ভাবনের ফলে বর্তমান এই বিশ্ব এগিয়েছে অনেক দূর, তাল মিলিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশও। কিন্তু এই প্রযুক্তির অসংখ্য ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও অপব্যবহার গ্রাস করছে তরুণ প্রজন্মকে। প্রযুক্তির অকল্যাণকর দিকগুলো যেন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তরুণদের। এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন প্রযুক্তিবিদরা। তরুণ প্রজন্মের ধ্বংসের কারণ হিসাবে এটি একটি অন্যতম কারণ।
ভয়ংকর সব অপরাধে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে উঠতি বয়সের এই যুবকরা। এইজন্য প্রযুক্তির পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তির এমন অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবকরাও। অনেকটা বাধ্য হয়ে সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছে স্মার্ট ফোন অথবা ডিজিটাল যেকোনো ডিভাইস। অভিভাবকরা বলছেন,এই ধরনের প্রযুক্তিগুলোতে তারা এতটাই আসক্ত যে তাদের যদি কোনকিছু দরকার হয়, আর আমরা সেটাতে বাধা দিলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করে।
কোনো একটি সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ১০০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৬৪ জন প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা কোন না কোন ধরনের প্রযুক্তিগত পর্দার সামনে ব্যয় করে থাকেন।
তাই প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।এ ছাড়াও গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারের সচেতনতামূলক প্রচারণা চালালে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করা হয়। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবহারই পারে আমাদের একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে সাথে সুন্দর একটি রাষ্ট্র।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url