আর্টিকেল র্যাঙ্ক করানোর সেরা ১০টি উপায়
আর্টিকেল র্যাঙ্ক কিভাবে করতে হয়, তা নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করব আপনাদের সাথে। আর আপনি যদি এটা সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করেন তবে আপনার আর্টিকেলগুলো গুগলে র্যাঙ্ক করাতে সক্ষম হবেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই কিভাবে আর্টিকেল র্যাঙ্ক করানো যায়।
আপনি যদি চান আপনার আর্টিকেলগুলো গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করুক, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক ট্রাফিক দরকার। আর এই ট্রাফিক পেতে গেলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তাছাড়া আপনি যতই ভালো আর্টিকেল লিখেন না কেন এসইও এর গাইডলাইন অনুসরণ না করলে আপনার আর্টিকেলগুলো গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করবে না।
সূচিপত্রঃ
- কনটেন্ট র্যাঙ্কিং কি?
- কিওয়ার্ড নির্বাচনের মাধ্যমে র্যাঙ্কিং
- অন-পেজ এসইও এর মাধ্যমে
- ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে
- AI ব্যবহার থেকে বিরত থাকা
কনটেন্ট র্যাঙ্কিং কি?
কনটেন্ট র্যাঙ্কিং বলতে বোঝায় আমাদের লেখা পোস্ট/আর্টিকেলগুলো গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে কোন পজিশনে সেটা দেখানো হচ্ছে। এই কনটেন্ট র্যাঙ্কিং আরো বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে।যেমনঃ
- কিওয়ার্ড নির্বাচন
- ব্যাকলিংক
- কনটেন্ট কোয়ালিটি
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, ইত্যাদি।
কিওয়ার্ড নির্বাচনের মাধ্যমে র্যাঙ্কিংঃ
1.কিওয়ার্ড নির্বাচন হল মানুষ সাধারণত গুগলে যে বাক্যগুলো সার্চ করে থাকে, আপনি সেই শব্দ বা বাক্যগুলোকে নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন। একটি ভাল কনটেন্ট লিখতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আগে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। দর্শকরা সাধারণত যে কীওয়ার্ডটা বেশি বার ব্যবহার করেছে বা সার্চ করেছে সেই কিওয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের কনটেন্ট লিখতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করে যদি সেই টপিকে আপনি ভালোভাবে লিখে থাকেন তাহলে গুগল আপনার আর্টিকেলটি সবার প্রথমে দেখাবে। ভুল কিওয়ার্ড দিয়ে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি কখনোই র্যাঙ্ক করবে না।
আরো পড়ুনঃ মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
অন-পেজ এসইও এর মাধ্যমেঃ
অন-পেজ এসইও কনটেন্ট র্যাঙ্কিং এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ব্লগার ওয়েবসাইটকে কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করে তোলা যায় তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
2. প্রতিটি পোস্ট চলিত ভাষায় লিখতে হবে এবং পোস্টের শিরোনাম ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
3. পোষ্টের পারমালিঙ্ক ইংরেজি কিওয়ার্ডে একটি শব্দ লিখতে হবে।পারমালিঙ্কের মধ্যে সব অক্ষর ছোট হাতের লিখতে হবে এবং এর মধ্যে কোনরকম সাল ব্যবহার করা যাবে না।
4. এছাড়া কন্টেন্টের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
5. প্রতিটি পোস্ট অনলাইন ইনকাম, লাইফ স্টাইল, তথ্য-প্রযুক্তি, ধর্মীয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, সমকালীন তথ্য ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে হবে।
6. পোস্টে আপলোডকৃত ছবি ওয়েব পি ফরমেটে ৫০ কেভির মধ্যে রাখতে হবে।
- টাইটেলের শুরুতেই ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- মেটা ডেসক্রিপশন এর শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
- সূচিপত্র লেখার পরে কোলন দিয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- প্রথম হেডিং এ ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এবং প্রথম হেডিং লেখার পরে যে প্যারা লিখতে হয় সেটার শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
- শেষ কথার পরে কোলন দিয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
8. প্রতিটি পোস্ট সর্বনিম্ন ১৫০০ শব্দে লিখতে হবে । এছাড়াও পোস্টে ব্যবহৃত ছবি চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেগুলোতে জলছাপ ব্যবহার করতে হবে। এবং ছবির মধ্যে কোন প্রকার সাল বা তারিখ ব্যবহার করা যাবে না
ব্যাকলিংক এর মাধ্যমেঃ
9. ব্যাকলিংক মূলত একটি লিংক যা এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটে নিয়ে আসে। একটু সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটে আপনার লিংক দেওয়া হবে তখন গুগল বুঝে যায় যে আপনার ওয়েবসাইটটা ভালো। এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ বাড়বে এবং সার্চ রেজাল্টে উপরে দেখা যাবে।
AI ব্যবহার থেকে বিরত থাকাঃ
AI হচ্ছে Artificial Intelligence. কনটেন্ট রাইটিং এ কোনভাবেই AI ব্যবহার করা যাবে না। AI ব্যবহারের ফলে আর্টিকেল র্যাঙ্কিং এ সমস্যা হয়। AI ব্যবহার করে কনটেন্ট লিখলে বা কপি করলে কপিরাইট আসতে পারে এছাড়াও গুগল এডসেন্স দেয় না। এর ফলে আমাদের ওয়েবসাইটগুলো গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্ক লিস্টে আসে না। তাই আপনারা যদি চান আপনাদের আর্টিকেল র্যাঙ্ক করুক তাহলে আপনাদের AI কে অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
উপসংহারঃ একটি আর্টিকেল র্যাঙ্ক করানোর জন্য সবথেকে জরুরি বিষয় হলো
কিওয়ার্ড রিসার্চ কনটেন্ট কোয়ালিটি, এসইও ,ব্যাকলিংক ইত্যাদি। উপরে
আলোচনার বিষয়গুলো যদি আপনি ঠিক রাখেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি খুব সহজেই র্যাঙ্ক
করানো সম্ভব হবে।
আরো পড়ুনঃ তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url